রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ সম্পর্কে

“স্মৃতিময় ইডেন”
কি এক আনন্দে ভাসছে
ঐ নীল আকাশটা যেন
একি মোহময়তা, একি আবেগ
কি এক মায়ায় জড়ায় কেন
প্রতিবার তোমায় আমায় অবিরত
বার বার তাই ফিরে আসি, তোমার কাছে যত
সে এক আপন নীড়ের মত”।

আমার ছোট বেলাটা অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর কেটেছে, বসবাস করেছি গভ: ফ্ল্যাটে, গ্রীন রোড, ধানমন্ডি, ঢাকাতে। বাড়ী থেকে কিছু দূরে বশির উদ্দিন রোড কলাবাগানে ছিল আমার স্কুল, নাম: লেক সার্কস গার্লস হাই স্কুল। বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি মহোদয়ের গবির্ত মা, শ্রদ্ধেয় রহিমা ওয়াদুদ ছিলেন অত্র স্কুলে সিনিয়র শিক্ষক। এই রতœগর্ভা মায়ের গর্বিত একজন শিক্ষার্থী ছিলাম আমি। আমরা তিন তিনজন বোন এই শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এর অধীনে পড়াশুনা করেছি।
আমি যখন দশম শ্রেনীর ছাত্রী, তখন পেয়েছি আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে তৎকালীন সময়ের সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘বিচিত্রা’র প্রতিবেদক গভ: সায়েন্স ল্যাব: স্কুলের হেড মাস্টার (রিটায়ার্ড পারসন) মো: সালেক খান স্যারকে। এসময়ে আমার শিক্ষা জীবনটি সোনায় সোহাগায় পরিনত হয়েছিল। সে সময়েও স্কুল ম্যাগাজিনে লিখেছিলাম, সে সময়ে আমার স্কুলের তিন দিকে ছিল অপূর্ব মাধুর্য্যমন্ডিত দক্ষিনা বাতাসে ঢেউ খেলানো সবুজ ধানি জমি। স্কুলের ছাদে উঠে এই ধান খেতের অকৃত্রিম সৌন্দর্য্য আমায় মোহিত করে রাখতো, লিখতে অনুপ্রেরণা যোগাতো।আর পড়াশুনা চালিয়ে যেতাম ভালোভাবে। প্রতি শ্রেণিতেই এভাবে ভালো রেজাল্ট করে স্কুল থেকে কৃতিত্ব সহকারে পুরস্কার নিয়ে ১৯৮১ সালে শৈশব ও কৈশোর কালের সৌন্দর্য্য মন্ডিত অপার শান্তির জায়গা প্রিয় স্কুল থেকে বেড় হয়ে এলাম।
এরপর জীবনের পট পরিবর্তন, ১৯৮১ সাল, একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হবার প্রচন্ড ইচ্ছে পোষণ করি। স্বপ্ন আর ইচ্ছে একসাথে হয়ে বিশাল কিছু একটা করতে আমায় আগ্রহ জাগালো। ভর্তি হবার পূর্বেই পুরো কলেজটা একবার ঘুরে দেখবার সাধ জাগে মনে। ভর্তির ফর্ম তুল্লাম, মামার চটপটি খেলাম, পুকুড়পাড়সহ সারা কলেজ ঘুরে বেড়ালাম। ভীষন ভালো লাগলো। যথারীতি ভর্তি পরীক্ষার সময় এগিয়ে এলো। পরীক্ষা দিলাম, ইন্টারভিউ হলো। আমি টিকে গেলাম প্রথম বারেই।
মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক রূপারাশি নিয়ে অবিরাম জ্ঞান প্রদীপ জ্বালিয়ে ইতিহাস তৈরি করে যাওয়া, এই উপমাহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও গৌরবান্বিত বিদ্যাপীঠ ইডেন মহিলা কলেজ, ছাত্রীদের জীবনের নির্মলতাকে, সৌন্দর্য্যকে ফুটিয়ে তুলছে অহর্নিশ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অত্যন্ত জনপ্রিয় ৪ বারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন ইডেনের শ্রেষ্ঠ ছাত্রী। ছিলেন অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী, ছিলেন ইতিহাস খ্যাত বীর কন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, খুলনার সুহাসিনী গাঙ্গুলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম মুসলীম ছাত্রী ফজিলাতুনন্নেছা, লীলা নাগ, শিল্পি প্রতিভা বসু , নাট্যব্যক্তিত্ব ফেরদৌসী মজুমদারসহ খ্যাতনামা এমন মুক্তবুদ্ধি ও মানবিক গুনাবলী সম্পন্ন অসংখ্য ব্যক্তিত্ব এই ইডেনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁরা তাদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন জাতীয় ও আন্তজার্তিক পর্যায়ের বিভিন্ন অঙ্গনে।
দু’টি বৎসর এইচ.এস.সিতে অধ্যয়ন করে যেমন পেয়েছি খ্যাতনামা অসংখ্য ব্যক্তিত্বের সানিধ্য, তেমনি ইডেনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আমায় মুগ্ধ ও আছন্ন করে রাখতো সারাক্ষন। ইডেন পুকুরের রূপ আমাকে লিখতে উদ্বুদ্ধ করতো। আমি দু’টি বৎসরে দুটি কবিতা লিখেছিলাম কলেজ ম্যাগাজিনে। একটি কবিতার নাম ছিল ‘আমি অনন্য’ এবং আরেকটি “অমর ২১শে”। সে সময়ের কলেজ ফাংশন, স্পোর্টস, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো ছিল অত্যন্ত আর্কষনীয় ও হদয়গ্রাহী। যা আজও তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। বিভিন্্œ অনুষ্ঠানের পূর্ব থেকেই চলতো সাজ সাজ রব। সকল সেশনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি কর্মচাঞ্চল্য ও উদ্দীপনা দেখা যেত সপ্তাহ ভরা আর আমিও বড় আপুদের অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ করার জন্য সক্কাল সক্কাল শাড়ী পরিধান করে কলেজে এসে হাজির হতাম। কি এক আন্দঘন মুহুর্ত ছিল সে দিনগুলো। যা আজও দু’নয়নের সম্মূখে ভেসে উঠে রঙিন হয়ে।
কলেজ লাইব্রেরীও ছিল খুব সমৃদ্ধ নানা রকম বইয়ের মধ্যে আমি খুঁজে বেড়াতাম শরৎ চন্দ্র চট্রোপাধ্যয়ের পুরনো বইগুলো। যা অসংখ্যবার সব্বাই পড়েছে। যেন কি এক স্বর্ন খনি ছিল এই বইগুলোতে, শ্রীকান্ত, দেবদাস, রামের সুমতি, গৃহদাহ, শেষ প্রশ্ন, বড়দিদি, পরীনিতা, পথের দাবী ইত্যাদি।

১৯৮৩ সালে এই কলেজে অধ্যক্ষ মহোদয় হিসেবে পেয়েছি প্রফেসর ড. আবেদা হাফিজ আপাকে, পেয়েছি প্রফেসর আনোয়ার আখতার সোবহান স্যারকে। সে সময়ে আমাদের ইংরেজী পড়াতেন প্রফেসর জাহানারা হক আপা। যিনি ১৯৮৭ সালে ইডেনের অধ্যক্ষ মহোদয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছিলেন প্রফেসর আয়শা খাতুন, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে গেছেন এবং ছিলেন প্রফেসর ড. সাকিনা বেগম যাঁরা পরবর্তীতে এই কলেজেরই অধ্যক্ষ মহোদয় হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

বৈচিত্র্যময় দু’টি বৎসর কাটিয়ে কলেজ পাঠ চুকিয়ে ভর্তি পরীক্ষা, ভাইবা দিয়ে একটি আসন পেলাম প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে। একদিকে একমাত্র ফিমেল প্রতিষ্ঠান ইডেন অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদলয়ের মত একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান আমার সঙ্গে রয়েছে। আরো এক ধাপ খুশীতে ভরপুর হলো মন। বিশাল এক অধ্যয়ন ক্ষেত্র পেলাম বি এস এস, এম এস এস, ১ বছর এমফিল এবং কষ্ঠশীলনে আবৃত্তি শিক্ষন আমাকে নিয়ে গেছে অধ্যয়নের আরেক স্বাপ্নিক জগতে। পেলাম অনার্স, মাস্টার্স স্কলারশিপ। পড়াশোনার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদল্যালয় কর্মসংস্থানে পার্ট টাইম জব, খেলায় খেলায় পড়া (একটি অষ্ট্রেলিয়ান চাইল্ড-স্টাডি ট্রেনিং সংস্থা ) আরো কত ট্রেনিং নিয়ে সফলতার সার্টিফিকেট নিয়েছি। এবার বি. সি. এস দিয়ে চাকুরী নিয়ে চলে গেলাম আপন ঠিকানা ছেড়ে অনেক অনেক দুরে। রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর হয়ে জীবনের বহু চড়াই উৎরাই পাড় হয়ে ্আবারও আপন নীড়ে ইডেনে ফিরে এসে স্বস্তির নিশ্বাস ফেল্লাম যেন। মনে পড়ে গেল বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার সেই দু’টি চরণঃ

“কত অজানারে জানাইলে তুমি
কত ঘরে দিলে ঠাঁই
দূরকে করিলে নিকট বন্ধু
পরকে করিলে ভাই।”

আমার এই অতি প্রিয় ইডেন ছেড়ে খুব বেশীদিন দূরে থাকলেও জীবন থেকে বাদ দিয়ে থাকতে পারিনি। শিক্ষার্থী হিসেবে প্রথম বেঞ্চে বসে স্বপ্ন দেখেছি শ্রেনী শিক্ষক প্রফেসর দিলারা হাফিজ আপার মতো করে (যিনি পরবর্তীতে সর: তীতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন) অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলারা হাফিজ আপা জীবনানন্দ দাসের কবিতাটি ভীষণ পছন্দ করতেন। তাই তিনি কবিতাটি ক্লাসে প্রায়শ:ই মজা করে পড়াতেন।

“হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে…..
চুল তার কবে কার অন্ধকার বিদিশার দিশা….
হাল ভেঙ্গে যে নাবিক হারায়েছে দিশা……
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে
সব পাখি ঘরে আসে-সব নদী ফুরায় জীবনের সব লেনদেন
থাকে শুধু অন্ধকার মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।”

না, অন্ধকারে নয়, এই দিশা প্রফেসর দিলারা হাফিজ দিয়েছিলেন শ্রেনী কক্ষে। আরো স্বপ্ন দেখিয়েছেন আমার প্রিয় শিক্ষক বিটিভি উপস্থাপক, বাংলা আপা সানজিদা হক, এনারা সকলেই ছিলেন আমার কাছে স্বর্ন-রেনুর মত। আর এই এই স্বপ্নের পথ পেয়েই ১৯১৫ সালে অনেক পথ পরিক্রমা বাধা-বিঘ্ন পেড়িয়ে হাজির হলাম আবারও আমার প্রিয় ইডেন ক্যাম্পাসে।

জয়েন করলাম সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে আমার বিভাগ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে। মূল ভবনের পেছনেই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ভবন। চারদিকে গাছপালা দিয়ে ভরপুর। প্রচন্ড গরমেও এই ভবনটি ঠান্ডা হাওয়াতে পরিপূর্ণ থাকে সবসময়। অনেকটুকু বাসন্তিক পরিবেশ যেনো। ২০১৭ সালে পদোন্নতি পেয়ে শিক্ষকতার মহান দায়িত্ব পেয়ে অধ্যাপকের পদ অলংকৃত করলাম। কলেজের সকল শ্রদ্ধাভাজনদের প্রতি সম্মান জানিয়ে শুরু হলো নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের সময়। ২০১৬ সালে কলেজ কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব দিলেন জেবুন্নেছা হলের উপদেষ্টা হিসেবে এবং এ দায়িত্ব পালন করেছি ২০২১ সাল পর্যন্ত। উল্লেখ্য যে, এখানে এসেই পেলাম অল্প দিনের জন্য অধ্যক্ষ প্রফেসর হোসনে আরা আপাকে, পেলাম অধ্যক্ষ প্রফেসর গায়ত্রী চ্যাটার্যী দিদিকে এবং আমার প্রান প্রিয় অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শামসুন নাহার আপাকে, তিনি অনুষ্ঠান মঞ্চে এসে দাঁড়ালেই আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠতো আমার মন। অপূর্ব তাঁর বাচনভঙ্গী, মানবিক গুনাবলী সম্বলিত মোহময় এক নারী ব্যক্তিত্ব। এসব গুনি ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে অধ্যাপক পদে আসীন হয়ে আবারও লিখলাম বার্ষিক ম্যাগাজিন“প্রমা” তে ‘বীর শ্রেষ্ঠ মানুষ’ কবিতাটি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত বছরের আদর্শ নিয়ে লেখা ম্যাগাজিন “জ্যোতির্ময়” তে লিখলাম “৭ই মার্চ ” নামক কবিতাটি। ২০২২ সালের প্রথম দিকে আবারো গুরু দায়িত্ব পেলাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের উপদেষ্টা সদস্য হিসেবে।

আজ ইডেনের স্বর্ণযুগ। ইডেনের বয়স ১৫০ বছর। এই স্বর্ণযুগ তথা ডিজিটাল যুগে ইডেন প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন অনন্য এক মহিয়সী, স্হনেশীলা, অজস্র মানবিক গুনাবলীর অধিকারী আমার প্রিয়তম দিদি অধ্যক্ষ প্রফেসর সুপ্রিয়া ভট্রাচার্য্য। যিনি একাধারে প্রতিষ্ঠান প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, সিনেট সদস্য, ৭ কলেজের সমন্বয়ক এবং বি. এন. সি. সি ও রোভার স্কাউটের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বসহ রয়েছেন আরো অনেক গুরু দায়িত্বে।

২০২০ সালেল ১লা জানুয়ারী ইডেন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পদে অধিষ্ঠিত হলাম। এবার শুরু হলো কর্মময় জীবনের আরেক বাস্তব ও স্বাপ্নিক অভিজ্ঞতা অর্জনের মাহেন্দ্রক্ষনগুলোর । বিভাগের অনার বোর্ড থেকে শুরু করে, শিক্ষক রুম ও সেমিনার রুমের নানা সংস্কারমূলক কাজও করে যাচ্ছি প্রতিবৎসর। এই সব উন্নয়নমূলক কাজে সরাসরি বিজ্ঞ অধ্যক্ষ মহোদয় সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আমরা তাই রাষ্ট্রবিজ্ঞন পরিবার অধ্যক্ষ মহোদয় ও উপাধ্যক্ষ মহোদয়ের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কর্মমুখর জীবন এত সুন্দর, এত রঙিন হতে পারে তাঁদের সঙ্গে ইডেনে কাজ করে প্রত্যক্ষ করছি প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত।

এই মহিয়সী, অনন্য নারী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে একাত্ব হয়ে কাজ করতে না পারলে আমার চাকুরী জীবনের অনেক প্রত্যাশা হয়তো অনেকটুকু অপূর্ন থেকে যেত। আমি আজ পরিপূর্ন, ইডেনের দেড়শত বছরের জন্মদিনে এসে আমি ধন্য। আমাদের ইডেন অঙ্গন আজ ডিজিটাল, গ্রীন, ক্লীন কলেজ। নান্দনিক একটি প্রকৃতি রয়েছে ইডেনে চারদিক সবুজের সমারোহ যেন, জ্ঞান আহরনের পাশাপাশি ঘুরে বেড়াবার প্রশান্তিময় একটি অনিন্দ সুন্দর প্রতিষ্ঠান ‘ইডেন”। ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীসহ অজস্র  সহকর্মী, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে ইডেন আজ পত্র পল্পবে সুশোভিত। ইডেন সেজেছে, সাজবে অবিরাম সাত রঙে রাঙা রংধনুর মতো করে। এই সাজসজ্জ্বা অব্যাহত রয়েছে, আরো অপূর্ব ও মহোময় সাজে সজ্জ্বিত হবার প্রত্যাশায়। শেষ করি আমার লেখা কবিতার উক্তি দিয়েঃ-

প্রিয়তম ইডেন
তোমার এক চিলতে হাসি যেন
গগনে ভেসে থাকা ঐ কালো মেঘগুলো সরিয়ে
রামধনুতে বাঙিয়ে দেয়,
ছড়িয়ে দেয় কি এক আবীর মাখা মাধুরী দিয়ে
আকাশ জুড়ে বসন্ত সমীরনো সম
এমনি হাসোজ্জ্বল অনন্ত রঙিন হয়ে থেকো
চিরকাল অবিরাম, অমর হয়ে
মায়ার বাঁধনে।

 

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
মমতাজ বেগম
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান