দর্শন বিভাগ সম্পর্কে

ইংরেজী “Eden” শব্দটির বাংলা অর্থ করলে যা দাঁড়ায়, তা হলো “স্বর্গোদ্যান”। ১৮৭৩ সালে “ঢাকা ফিমেল স্কুল” নামে যে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করেছিল, হাঁটি হাঁটি পা পা করে সেটি ২০২৩ এসে সার্ধশত বছরে পদার্পণ করে সত্যি সত্যিই এক স্বর্গোদ্যানে পরিণত হয়েছে। নারী  শিক্ষার ক্ষেত্রে এক আকাঙ্ক্ষার নাম ইডেন, এক স্বপ্নের নাম এখন ইডেন। ইডেন মানেই আমাদের অত্যন্ত ভাললাগার স্থান, ভালবাসার জায়গা। আর এ স্বর্গোদ্যানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে রয়েছে আমাদের “দর্শন বিভাগ”-যে বিভাগে ভর্তি হয়ে ছাত্রীরা পাচ্ছে জ্ঞানচর্চার, চিন্তার প্রসার ঘটাবার মতো অপার সুযোগ।

নারী শিক্ষার ব্রত নিয়ে ইডেন মহিলা কলেজ ১৮৭৩ সালে স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু করে ১৯২৬ সালে এটি ইন্টারমিডিয়েট কলেজে উত্তীর্ণ হয় এবং ১৯৬২ সালে এ কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক সম্মান কোর্স চালু হয়। পরবর্তীতে এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে আজকের দর্শন বিভাগে অনার্স কোর্স শুরু হয় অধ্যাপক সাকিনা আজহারের সুযোগ্য নেতৃত্ব ও সফল প্রচেষ্টায়। ১৯৮৮ সালে এই বিভাগের তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান জনাব মোহাম্মদ আবদুল বারীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্নাতকোত্তর কোর্স চালু হয়। বর্তমানে এই বিভাগের ছাত্রীসংখ্যা প্রায় ১০০০(এক হাজার)। এই বিভাগে কর্মরত আছেন ১০ জন সম্মানিত শিক্ষক, যারা অত্যন্ত অভিজ্ঞ, দক্ষ ও আন্তরিক। যাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছরই কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল লাভ করে আসছে। অতি সম্প্রতি ২০২১ সালের অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের মধ্যে আমাদের বিভাগ মেধা তালিকায় ১ম,২য় স্থান লাভসহ প্রায় ৯৪% পাস করেছে। এ ছাড়াও এ বিভাগে রয়েছে দূর্লভ ও মূল্যবান বই সমৃদ্ধ একটি সেমিনার, একটি ডেস্কটপ, দুটি ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। সেমিনার পরিচালনায় শিক্ষকদের সাথে রয়েছে একজন সেমিনার সহকারী। বিভাগের কাজে সহযোগিতার জন্য রয়েছে ২ জন অফিস সহায়ক।

বিভাগ চালুর সময় থেকে অদ্যাবধি এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের পাশাপাশি কলেজে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। এছাড়া বিএনসিসি, রোভারস্কাউটের সদস্য হিসেবে এ বিভাগের ছাত্রীরা বিভিন্ন সেবামূলক দায়িত্ব পালন করে থাকে। এ কলেজের অত্যন্ত সুযোগ্য, নিষ্ঠাবান এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ প্রফেসর সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য ও উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ফেরদৌসী বেগমের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় আগামীদিনে সমৃদ্ধ, ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এ কলেজের নারী শিক্ষার্থীরা আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বলে আমি আশাবাদী এবং বিশ্বাস করি।

দর্শন বিভাগ

নিলুফার ইয়াসমিন

অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান