ব্যবস্থাপনা বিভাগ সম্পর্কে

সুদূর অতীতে ১৮৭৮ সালে তৎকালীন গভর্ণর স্যার অ্যাশলে ইডেনের নাম অনুসারে ইডেন গার্লস স্কুল নামে মেয়েদের জন্য  প্রতিষ্ঠিত হয়, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যা ছিল  তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থায় নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। পরবর্তী সময়ে ইডেন গার্লস হাইস্কুলে ইন্টারমিডিয়েট ক্লাশ প্রবর্তনের মাধ্যমে স্কুলটি কলেজে উন্নীত হয়। শতাব্দী উত্তীর্ণ  বাঙ্গালী নারীদের গৌরব সমৃদ্ধ ইডেন মহিলা কলেজ এখন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হিসেবে এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত।

ইডেনের সার্ধশত বছর পূর্তিতে স্বরণিকার জন্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কথা লিখতে গিয়ে চেতনার দরজায় সময়ের করাঘাতে সচেতন হয়ে পেছন ফিরে তাকালাম। অনুভূতির তীক্ষ্ণতা দিয়ে প্রত্যক্ষ করলাম সেখানে থরে থরে সাজানো আছে অনেক স্মৃতি। হৃদয়ের গভীরে লুকানো আছে অনেক শিক্ষকের এবং ছাত্রীদের নাম।

মূলত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দক্ষ মানব সম্পদের কোন বিকল্প নেই। আর এই দক্ষ মানব সম্পদ গঠনে ব্যবস্থাপনা বিষয়টির গুরুত্ব অনস্বীকার্য। নানাবিবর্তনের মধ্য দিয়ে ব্যবস্থাপনা আজ একটি স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। অবাধ তথ্য প্রবাহ, মুক্ত বাজার অর্থনীতি আর বিশ্বয়ানের প্রভাবে আধুনিক ব্যবসায় বাণিজ্য এক জটিল রূপধারন করেছে। এর সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবস্থাপনা একটি আধুনিক গতিশীল সার্বজনীন প্রক্রিয়া হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ব্যবস্থাপনার গন্ডি আজ অত্যন্ত ব্যাপক। সকল প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবস্থাপনা জ্ঞান ও দক্ষতার সঠিকও কার্যকর ব্যবহার এবং ব্যবস্থাপনার নিত্য নতুন কলা কৌশলের সফল প্রয়োগ আজ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

ঐতিহ্যবাহী ইডেন মহিলা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগ একটি গৌরবদীপ্ত ও সমৃদ্ধ বিভাগ। ইডেন কলেজের মত এত বড় প্রতিষ্ঠান  কোন একক ব্যক্তির প্রচেষ্টায় আজকের এই মহীরুহসম হয় নাই, তেমনি অনেক  ব্যক্তিত্বের ত্যাগ, জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও পরিশ্রমের ফসল আজকের এই ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

মূলতঃ বাণিজ্য  বিভাগে আজকের এই অসামান্য সাফল্যের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন জনাব চৌধুরী আলাউদ্দিন ও জনাব স্বপ্না রানী সাহা নামে দুজন মহান ব্যক্তিত্ব। ১৯৮১ সালে এই দুজন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে ইডেন মহিলা কলেজ বাণিজ্য বিভাগ চালু করে এবং মাত্র ১৪ জন ছাত্রী নিয়ে  উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর  শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। আমি গর্বিত এই ভেবে যে তাঁরা উভয়ে আমার শিক্ষক ছিলেন।

১৯৮৪ সালে বাণিজ্য বিভাগে ডিগ্রী/পাসকোর্স চালু করা হয় এবং বাণিজ্য বিভাগের অন্যতম শাখা হিসাবে ব্যবস্থাপনা বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। তখন ব্যবস্থাপনা বিভাগে এ.কে.এম আবদুল্যাহ ও শামীম আরা নামে দুজন স্বনামধন্য শিক্ষক কর্মরত ছিলেন।

বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে ১৯৯২-৯৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স কোর্স চালুর অনুমতি দেয়। যা ছিল ব্যবস্থাপনা বিভাগের গগনে ঊষার পূণ্যময় লগ্ন। ঐ সময় ব্যবস্থাপনা বিভাগে কর্মরত ছিলেন মাত্র চার (০৪) জন স্বনাম ধন্য শিক্ষক। তাঁরা হলেন জনাব তোফায়েল আহমেদ (মৃত), জনাব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম খান, জনাব মুমতাজ শিরীন, জনাব সুফিয়া আখতার । তাঁদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নিরলস পরিশ্রমের ফলে শুরু থেকেই ব্যবস্থাপনা বিভাগ একাডেমিক ফলাফল ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

১৯৯৪- ৯৫ শিক্ষাবর্ষ হতে এ বিভাগে প্রিলিমিনারী কোর্স এবং ১৯৯৫- ৯৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স শেষ পর্বের কোর্স চালু করা হয়। এ বিভাগ থেকে ১৯৯৫ শিক্ষাবর্ষে সম্মান প্রথম ব্যাচের ছাত্রীরা চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। উক্ত পরীক্ষায় প্রথম ব্যাচের ছাত্রীরা প্রথম শ্রেণীতে প্রথমস্থানসহ মেধা তালিকায় ০৭টি আসন লাভ করে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ স্তরের শিক্ষাব্যবস্থায় এক অনন্য রেকর্ড স্থাপন করে। উল্লেখ্য এই ব্যাচের ছাত্রী তাকরীমা রুমিয়া অনার্স এবং মাস্টার্সেসমগ্র বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণীতে প্রথমস্থান অর্জন করে। বর্তমান ছাত্রীরাও এই ধারা অব্যাহত রেখে বিভাগের সুনাম অক্ষুন্ন রাখছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে অত্রবিভাগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রী স্থান পায়। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ হিসেবে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করলে বিভাগের আসন সংখ্যা কিছুটা কমলে ও বর্তমানে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্স (বি.বি.এ) ১ম বর্ষে ৩২০টি, মাস্টার্স ১ম পর্বে ১৫০টি, মাস্টার্স শেষ পর্বে (এম.বি.এ) ২৫০ টি আসন রয়েছে।

ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসা প্রশাসনের তত্ত্বীয় জ্ঞান লাভের পাশাপাশি এই বিভাগের ছাত্রীরা সাহিত্য -সংস্কৃতি, ক্রীড়া,বিতর্ক, নাটক,সামাজিক ও বিনোদনমূলক কর্মকান্ডে কলেজ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলছে। এই বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রীরা ক্যাডার সার্ভিস সহ সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে,কর্পোরেট জগতে, নারী উদ্যোক্তা হিসেবে  দেশে বিদেশে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। এই বিভাগের ১ম ব্যাচের দুজন ছাত্রী অভিনয় জগতেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। তারা হচ্ছে অভিনেত্রী জয়া আহসান (জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত) এবং তাজিন আহমেদ (প্রয়াত)।

ছাত্রী সংখ্যা অনুপাতে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক সংখ্যা বরাবরই কম ছিল। তারপরও বিভাগের ছাত্রীদেরকে পাঠদান, টিউটোরিয়াল পরীক্ষা গ্রহণ, ইনকোর্স পরীক্ষা ও নির্বাচনী পরীক্ষা গ্রহণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ম্যাগাজিন প্রকাশ, দেয়ালিকা প্রকাশ ইত্যাদি কাজে বিভাগীয় শিক্ষকরা আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করে  থাকেন । উল্লেখিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ছাত্রীদের মাঝে  শৃঙ্খলা, মননশীলতা, জাতীয়তাবোধ, দেশপ্রেম, জ্ঞান অন্বেষণ প্রভৃতি গুণাবলী অর্জনেও বিভাগীয় সহকর্মীরা যথেষ্ট অগ্রগামী। বর্তমানে বিভাগে ৭ জন সুযোগ্য মেধাবী শিক্ষক আছেন। যাদের মধ্যে ৩ জনই এই বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।

বর্তমান বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দঃ

ক্রঃ নং নাম পদবী
০১। জনাব সুফিয়া আখতার অধ্যাপক  ও বিভাগীয় প্রধান
০২। জনাব মারুফা মাহবুব অধ্যাপক
০৩। জনাব দেবাশীষ কুমার সাহা সহযোগী অধ্যাপক
০৪। জনাব সেলিনা আখতার সহকারী অধ্যাপক
০৫। জনাব মেরীন জামান সহকারী অধ্যাপক
০৬। জনাব রোকসানা আক্তার সহকারী অধ্যাপক
০৭। জনাব ওম্মে হাবিবা প্রভাষক

প্রাক্তন শিক্ষকবৃন্দঃ

এই বিভাগে বিভিন্ন সময়ে যেসমস্ত মেধাবী ও সম্মানিত শিক্ষকগণ  দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে বিভাগে অবদান রেখে গেছেন, সার্ধশত বছরে তাদের নাম উল্লেখ না করলে বর্তমান বিভাগীয় প্রধান হিসেবে একটা দায়ভার থেকেই যায়। সেই সকল কৃর্তিমান শিক্ষকগণ হলেনঃ

জনাব অধ্যাপক মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া, জনাব ফারুক আহমেদ,জনাব নূরে আলম সিদ্দীকী,জনাব  মোঃ সাইফুল্লা প্রধান, জনাব অধ্যাপক ড. মোঃ আলাউদ্দীন, জনাব মোহাম্মদ আমিনুর রহমান খান, জনাব এম. এম. আতিকুজ্জামান, জনাব মোঃ ছালাহ উদ্দীন, জনাব মাহফুজা খানম, জনাব অধ্যাপক নাসরিন আক্তার প্রভা, জনাব অধ্যাপক মোঃ সাইফুল হক(মৃত), জনাব অধ্যাপক নাছরিন আক্তার জাহান।

আমি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সম্মানীয় প্রাক্তন সেইসব নিবেদিত প্রাণ বিভাগীয় প্রধানদের যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা, মননশীলতা ও সাহচর্যে বিভাগের শিক্ষক,কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা হয়েছে সমৃদ্ধ।

বিভাগীয় প্রধানগণঃ

ক্রঃ নং নাম কার্যকাল
০১। অধ্যাপক এ.কে.এম আবদুল্যাহ ১৯৮৪ – ১৯৯২
০২। অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ ১৯৯২ – ২০০১
০৩। অধ্যাপক মোঃ মাহবুবুল হক ২০০১ – ২০০১
০৪। অধ্যাপক মুমতাজ শিরীন ২০০১ – ২০০১
০৫। অধ্যাপক এস.আর. মজুমদার ২০০১ – ২০০৪
০৬। অধ্যাপক মোজাম্মেল আলী আহমেদ ০১.০৮.২০০৪ -০.০৬.২০০৬
০৭। অধ্যাপক এস.আর.মজুমদার ২১.০৫.২০০৬ -৮.০৬.২০০৬
০৮। অধ্যাপক আবদুল মোনাইম ১৯.০৬.২০০৬ – ১৪.০৩.২০০৭
০৯। জনাবমোঃ আফছার আলী(ভারপ্রাপ্ত) ১৫.০৩.২০০৭ – ০৪.০৫.২০০৭
১০। অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র নন্দী ০৫.০৫.২০০৭ – ১৭.০৫.২০০৯
১১। অধ্যাপক মোঃ আফছার আলী ০৮.০৯.২০০৯ – ০৭.০৯.২০০৯
১২। অধ্যাপক এস.আর.মজুমদার ০৮.০৯.২০০৯ – ৩০.১২.২০১৩
১৩। জনাব সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য (ভারপ্রাপ্ত) ৩০.১২.২০১৩ – ১৬.০৩.২০১৪
১৪। অধ্যাপক তহমিনা আক্তার ১৬.০৩.২০১৪ – ১৫.০৩.২০১৭
১৫। জনাব সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য(ভারপ্রাপ্ত) ১৫.০৩.২০১৭ – ১৮.০৩.২০১৭
১৬। অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য ১৯.০৩.২০১৭ – ১৯.০১.২০২০
১৭। জনাব সুফিয়া আখ্তার (ভারপ্রাপ্ত) ১৯.০১.২০২০ – ০৬.০৮.২০২০
১৮। অধ্যাপক সুফিয়া আখ্তার (ভারপ্রাপ্ত) ০৬.০৮.২০২০ – ২৫.০২.২০২১
১৯। অধ্যাপক সুফিয়া আখ্তার ২৫.০২.২০২১ -অদ্যাবধি

পরবর্তীতে এই সকল শিক্ষক এবং বিভাগীয় প্রধানগণ বিভিন্ন স্বনামধন্য কলেজে অধ্যক্ষ,উপাধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও ডীন হিসেবে সফলভাবে তাঁদের কর্ম জীবন সমাপ্ত করেছেন। অনেক শিক্ষক বাংলাদেশ সরকারের উপসচিব, যুগ্ন সচিব, অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদায়ন পেয়ে বিভাগের সম্মান উজ্জ্বল করেছেন।

এই সমস্ত বিভাগীয় প্রধানদের মধ্যে দুজন বিভাগীয় প্রধান ইডেন মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ পদ অলংকৃত করে ব্যবস্থাপনা বিভাগকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়।

তাঁদের মধ্যে একজন হচ্ছেন প্রতিভাবান ও স্বনামধন্য বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক তহমিনা আক্তার,তিনি বিভাগীয় প্রধানের পাশাপাশি আইসিটির ডাইরেক্টর, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এবংসর্বশেষে ইডেন মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে (২০১৭- ২০২০) পর্যন্ত কর্মরত থেকে  অবসর গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য অধ্যাপক তহমিনা আক্তার তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের বর্তমান সাফল্যের পেছনে আরেকজন আপন মহিমায় উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের নাম হলো অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য। তিনি ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক এবং বিভাগীয় প্রধান ছিলেন । তিনি ২০/০১/২০২০ তারিখথেকে ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের পদে আসীন হয়ে অদ্যাবধি অত্যন্ত সফলভাবে কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে ইডেন মহিলা কলেজের সকল শিক্ষক কলেজের সুনাম বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ।তাছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের সমন্বয়ক, সিনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্য এবং বাংলাদেশ স্কাউটের (গার্ল ইন স্কাউট) জাতীয় কমিশনার হিসেবেও কৃতিত্বের সাথে  কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর এইসব  সফলতায় বিভাগের শিক্ষক, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা হয়েছে গর্বিত।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের আজকের এই সফলতার পেছনে আরেকজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বের অবদান উল্লেখ না করলে অপূর্ণতা থেকেই যাবে । তিনি হচ্ছেন আমাদের বর্তমান শ্রদ্ধেয় উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম । সম্মানিত অধ্যক্ষের পাশাপাশি উপাধ্যক্ষ মহোদয়ের সৃজনশীল দিকনির্দেশনা এবং সর্বাত্মক সহযোগিতায় বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনকরার জন্য শিক্ষকগণ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যাতে করে বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেধাবী, দক্ষ ও  মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানবসম্পদ গড়ে তোলা যায়। যারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের প্রস্তুত করার পাশাপাশি ২০৪১ সালের স্মার্ট, উন্নতও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে।

অদূর ভবিষ্যতে ইডেন মহিলা কলেজ বাংলাদেশের নারী প্রগতির একক প্রতিষ্ঠান রূপে আত্মপ্রকাশ করবে। সেই সাথে ইডেন মহিলা কলেজ পরিবারের অন্যতম সদস্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সুনাম ও সাফল্য আরও বৃদ্ধি পাবে  স্রষ্টার নিকট প্রতিনিয়তআমরা এই প্রার্থনাই করি।

সবশেষে ইডেন মহিলা কলেজ, ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বিভাগের সকল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো –

ভেঙ্গেছে দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়, তোমারি হউক জয় ।

তিমির বিদার উদার অভ্যুদয়,তোমারি হউক জয় ।